পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন বলেছেন, দলের টপ অর্ডার নিয়ে তাঁর দুশ্চিন্তা নেই। তবু ফখর জামানকে নিয়ে প্রশ্নটা থেকে যায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কি আজ পাকিস্তান দলে থাকবেন বাঁহাতি এই ওপেনার? পরিস্থিতি কিন্তু বলছে তাঁর বাদ পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ফখর পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। কিন্তু সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটির পারফরম্যান্সে তাকালে ফখরের পাশে রানসংখ্যা দেখে ভ্রু কুঁচকে যাবেই। এই পাঁচ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ওপেনিং জুটি পেয়েছে পাকিস্তান। এ বছর ১৬ ম্যাচে ওপেনিং থেকে একবারই ন্যূনতম ১০০ রানের জুটি পেয়েছে পাকিস্তান।
এবার ফখরের পরিসংখ্যানে তাকানো যাক। সেই যে এপ্রিলে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, এরপর ১১ ওয়ানডেতে ন্যূনতম ফিফটিও পাননি। গত মে মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩ রানের ইনিংসটাই সর্বোচ্চ। এই ১১ ম্যাচে ফখরের ব্যাটিং গড় ১৮.৩৬।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ছিল তুলনামূলক কম শক্তিশালী নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। অনেকেই ভেবেছিলেন, এ ম্যাচ দিয়ে ফর্মে ফিরবেন ফখর। কিন্তু ওপেনিংয়ে ১৫ রানের জুটিতে ১২ রান করে আউট হন। পাকিস্তান সে ম্যাচে ৮১ রানে জিতলেও ওপেনিংয়ে ফখরকে নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই গেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম থেকে সংবাদ সংস্থা এএফপিও জানিয়েছে, হায়দরাবাদে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবদুল্লাহ শফিককে জায়গা করে দিতে দল থেকে বাদ পড়তে পারেন ফখর। সর্বশেষ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছিলেন ডানহাতি ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। সেটাই ছিল দুই দলের সর্বশেষ ম্যাচ।
তিনি ভাবছেন না, ‘টপ অর্ডারের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। তারা এক সময় না এক সময় পারফর্ম করবেই।’ তবে আস্থা রাখার পাশাপাশি গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন এ কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘পাওয়ার প্লে-তে আমরা যেমন রান আশা করছি, সেটা হচ্ছে না।’
এরপরই দলে ফখরের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করেন ব্র্যাডবার্ন। আর সেই ব্যাখ্যাতেই বোঝা যায়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলে জায়গা নাও পেতে পারেন ফখর, ‘ব্যাটিংয়ে একদম ওপরে আমাদের হাতে চার থেকে পাঁচটি বিকল্প আছে। আর আমরা তাদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী যে শুধু রানই নয়, আমরা যে ধারায় খেলতে চাই, সেটাও পারবে। আমরা মিডল অর্ডারের জন্য ভিতটা তৈরি করতে চাই, আর সেটা এই মুহূর্তে হচ্ছে না বলেই আলোচনা চলছে।’
রাওয়ালপিন্ডিতে অপরাজিত ১৮০ রানের সেই ইনিংসের পর ১১ ওয়ানডেতে ফখরের স্ট্রাইকরেট ৬৬.২২। অথচ ৭৯ ওয়ানডেতে ১০ সেঞ্চুরিসহ ৩২৮৪ রান করা ফখরের ক্যারিয়ার স্ট্রাইকরেট ৯১.৯১। বোঝাই যাচ্ছে, দ্রুত রান তুলতে অভ্যস্ত এই বাঁহাতি ওপেনারের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট আজও তাঁর ওপর ভরসা রাখে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। আজ দুপুর ২.৩০ মিনিটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান।
কোন মন্তব্য নেই: