পানিতে ডুবেছে কৃষকের স্বপ্ন !!
০৮ অক্টোবর ২০২৩, ২৩শে আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি ।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ডুবে যাওয়া ক্ষেত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক।
সরো জমিন দেখা গেছে, কয়েকদিন ধরে উপজেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে উপজেলার মুরাদপুর, চকরামপুর, গুলিয়া, দমদমা, কৃষ্ঠপুরসহ বিভিন্ন মাঠের ফসল ডুবে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকায়। পানি যদি দু-একদিনে কমে না যায় তাহলে বেশিরভাগ ধান পচে যাবে। নতুন করে চারা রোপণ করার সময়ও এখন নেই।
উপজেলায় চলতি বছর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪২০ হেক্টর ও কাঁচা মরিচসহ সবজির লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ হেক্টর। বৃষ্টিতে ৭০ হেক্টর জমির ধান ও ১০ হেক্টর সবজিক্ষেত ডুবে গেছে।
উপজেলার চকরামপুর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন। তিনি জানান, তার ৯ বিঘা আমন ধান ও দুই বিঘা মরিচ গাছ পানির নিচে। তার মাঠে ১২০ বিঘা জমির ধান ও মরিচ গাছ পানিতে ডুবে রয়েছে বলে দাবি করেন।
ফারুক হোসেন বলেন, উপজেলার বেশিরভাগ কৃষক এনজিওর ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেন। হঠাৎ ঢলের পানিতে ফসল ডুবে যাওয়ায় আমরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতার দাবি জানান তিনি।
একই এলাকার কৃষক মজনু মিয়ার এক বিঘা মরিচ, মনির উদ্দিনের আট বিঘা ও আব্দুল হাকিমের পাঁচ বিঘা জমির আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে। তারা জাগো নিউজকে বলেন, ‘চারদিন ধরে আমনের ধান পানির নিচে রইছে। আইজ সারাদিন ক্ষেতে পানির সঙ্গে আসা কচুরিপানাগুলা সরাইলাম। পানি না নামলে তো বিপদে পড়মু।’
জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক বলেন, টানা বর্ষণে উপজেলায় কিছু জমিতে পানি উঠেছে। প্রাথমিক তথ্যে পানিতে ডুবে ৭০ হেক্টর ধান ও ১০ হেক্টর সবজিক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। আশা করছি পানি দ্রুত নেমে গেলে ধানের কোনো ক্ষতি হবে না।
কোন মন্তব্য নেই: