জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পুরো গাজা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় ইতিমধ্যে খাবার, সুপেয় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েল থেকে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো, সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে বড় ধরনের ‘মানবিক বিপর্যয়’ নেমে আসবে। এখানে প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন।
ইতিমধ্যে হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ‘সব ধরনের পণ্য সরবরাহ ও সেবা’ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
গাজার বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আজ সকালে বলেছিল, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে গাজা।
ফিলিস্তিন এনার্জি অথরিটির চেয়ারম্যান থাফের মেলহাম আজ সকালে ভয়েস অব ফিলিস্তিনকে বলেছিলেন, গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জ্বালানির অভাবে বিকেলের দিকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, তারা গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সুপেয় পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। যদি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু না হয়, তাহলে গাজাবাসীকে জেনারেটর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করতে হবে। অবশ্য যদি তাদের কাছে জ্বালানি থাকে।
কোন মন্তব্য নেই: